রাতের বেলা এক দোকানদার নিজের দোকান বন্ধ করতে যাচ্ছিল, এমন সময় একটি কুকুর দোকানে আসল। কুকুরের মুখে একটা বাজার করার ব্যাগ ছিল, যার মধ্যে জিনিষের লিষ্ট আর টাকা ছিল। দোকানদার টাকা নিয়ে জিনিষপত্র ব্যাগে ভরে দিল, কুকুর ব্যাগ পিঠে উঠিয়ে নিল আর চলে যাচ্ছিল।
দোকানদার আশ্চর্যান্বিত হয়ে কুকুরের পিছে পিছে গেল এটা দেখার জন্য যে, এতো সমঝদার কুকুরের মালিক কে….? কুকুর বাস স্টপে দাঁড়িয়েছিল, একটা বাস এলো আর কুকুর এতে চড়ে গেল। কন্ডাক্টরের কাছে আসতেই কুকুর ঘাড় বাড়িয়ে দিল, তার গলার বেল্টে টাকা আর ঠিকানা লিখা ছিল। কন্ডাক্টরও টাকা নিয়ে টিকিট কুকুরের গলার বেল্টে রেখে দিল।
নিজের স্টপেজ এ আসতেই কুকুর সামনের দরজার সামনে এগিয়ে এলো আর লেজ নাড়িয়ে কন্ডাক্টরকে ইশারা দিল আর বাস থামতেই নেমে চলতে আরম্ভ করল। দোকানদারও পিছে পিছে চলছিল….. কুকুর ঘরের সামনে এসে নিজের পা দিয়ে দরজায় দুই তিনবার নক করল, ভেতর থেকে তার মালিক এল আর লাঠি দিয়ে কুকুরের পিঠে কয়েক ঘাঁ বসিয়ে দিল।দোকানদার আরো আশ্চর্যান্বিত হয়ে ঘরের মালিককে এর কারন জিজ্ঞেস করল……???
মালিক বলল. “শালা আমার কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে দিয়েছে, চাবি সাথে নিয়ে যেতে পারেনি গাধাটা…!!! জীবনেরও ঐ একই সত্য….. আপনার কাছ থেকেও মানুষের আশার কোন অন্ত নেই, যেখানেই আপনার সামান্যতম ভুল হলো,,, সেখানেই মানুষ আপনার দোষ বের করে নেবে আর বিগত সকল ভালো গুলোকে ভুলে যাবে…..!!!
এইজন্য নিজের কর্ম করে চলুন, অন্যদের কথায় কান দিয়ে লাভ নেই, মানুষ কখনো সন্তুষ্ট হবে না।।। কলিজাটা রান্না করে খাওয়ালেও বলবে লবণ কম হয়েছে। কেমন হলো জানাবেন কিনতু …
এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, “রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা…
এক রাজার এক চাকর ছিল। চাকরটা সবসময় যেকোন অবস্থাতেই রাজাকে বলত, “রাজা মশাই, কখনো মন খারাপ করবেন না। কেননা ঈশ্বর যা করেন তার সবকিছুই নিখুঁত ও সঠিক।”
একবার রাজা সেই চাকর সহ শিকারে যেয়ে নিজেরাই এক হিংস্র প্রাণীর আক্রমণের শিকার হলো। রাজার চাকর সেই প্রাণীকে মারতে পারলেও, ততক্ষণে রাজা তার একটা আঙুল হারান। রাগে- যন্ত্রণায়-ক্ষোভে রাজা ক্ষি’প্ত হয়ে চাকরের উদ্দেশ্য করে বলেন “ঈশ্বর যদি ভালোই হবেন তাহলে আজকে শিকারে এসে আমার আঙুল হারাতে হতো না।”
চাকর বলল, “এতকিছুর পরও আমি শুধু আপনাকে এটাই বলব ঈশ্বর সবসময়ই ভালো ও সঠিক কাজই করেন; কোনো ভুল করেন না। চাকরের এই কথায় আরও বিরক্ত হয়ে রাজা তাকে জেলে পাঠানোর হুকুম দিলেন।
এরপর একদিন রাজা আবার শিকারে বের হলেন। এবার তিনি একদল বন্য মানুষের হাতে বন্দি হলেন। এরা তাদের দেবদেবির উদ্দেশ্যে মানুষকে বলি দিত।
রাজা কে বলি দিতে যেয়ে তারা দেখল যে, রাজার একটা আঙুল নেই। তারা এমন বিকলাঙ্গ কাউকে তাদের দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতে রাজি হলো না। তাই তারা রাজাকে ছেড়ে দিল।প্রাসাদে ফিরে এসে তিনি তার সেই পুরোনো চাকরকে মুক্ত করে দেওয়ার হুকুম দিলেন।
চাকরকে এনে বললেন, আল্লাহ আসলেই ভালো ৷ আমি আজ প্রমাণ পেয়েছি তার, আমি আজ প্রায় মরতেই বসেছিলাম। কিন্তু আঙুল না থাকার কারণে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি।
“তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। ঈশ্বর ভালো, এটা তো বুঝলাম। কিন্তু তাহলে তিনি আমাকে দিয়ে তোমাকে জেলে পুরলেন কেন?”
চাকর বলল, “রাজামশাই, আমি যদি আজ আপনার সাথে থাকতাম, তাহলে আপনার বদলে আজ আমি কোরবান হয়ে যেতাম। আপনার আঙুল ছিল না, কিন্তু আমার তো ছিল। কাজেই ঈশ্বর যা করেন সেটাই সঠিক, তিনি কখনো কোনো ভুল করেন না।
গল্পের শিক্ষাঃ- সব কিছুর ইতিবাচক, নেতিবাচক দুই দিক থাকে। কখনো নিরাশ হবেন না, যদি কোন কিছুতে সফলতা না পান তবে ইতিবাচক চিন্তা করুন। সফল না হওয়ার কারণে কি ক্ষতি হয়েছে তা নিয়ে না ভেবে কি লাভ হয়েছে তা দেখুন।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online