দ্বিতীয় দিনে সাতক্ষীরার উপকূলীয় খোলপেটুয়া নদীর ভেঁড়িবাঁধ মেরামতে কাজ করছেন ১৫০০ শ্রমিক। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে দ্বিতীয় দিনের মত বাঁধ মেরামত কার্যক্রম শুরু হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবকরা যৌথভাবে বাঁধ মেরামতের কাজটি পরিচালনা করছেন।
গত ১৪ জুলাই আকষ্মিক বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়নের পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকায় ১৫০ ফুট উপকূল রক্ষা ভেঁড়িবাঁধ নদীগর্ভে চলে যায়। পানিবন্দি হয়ে পড়ে নয়টি গ্রামের ২৫ হাজার উপকূলীয় বাসিন্দা। প্লাবিত হয়েই ভেসে যায় মাছের ঘের, চিংড়ি, কাকড়া খামার ও পুকুর। পানির তিব্র স্রোতের কারণে বাঁধটি মেরামত করতে না পারায় এখনো লোকালয়ে প্রবেশ করছে লোনা পানি।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে গেছে ১৬৫৫ হেক্টর চিংড়ি ও কাকড়া খামার। এর মধ্যে পুকুর রয়েছে ১০০টি। চিংড়ি, কাকড়া, সাদা মাছ, মাছের পোনাসহ আনুসঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজি নজরুল ইসলাম জানান, দ্বিতীয় দিনের মত বাঁধ মেরামত কার্যক্রম চলছে। ভাঙন বাঁধের পাশে রিং বাঁধ তৈরী করা হচ্ছে। অর্ধেকের বেশী কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ১৫০০ শ্রমিক বাঁধ মেরামত কাজে যোগ দিয়েছেন। এরমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে নিযুক্ত করেছেন এক হাজার শ্রমিক। বাকি ৫০০ জন এলাকার স্বেচ্ছাসেবক, এনজিও প্রতিনিধি ও গ্রামবাসী রয়েছেন।
তিনি বলেন, আজ বাঁধটি সম্পূর্ণ মেরামত করা সম্ভব হবে না। তবে আগামীকাল বাঁধটি মেরামত কার্যক্রম শেষ হবে। তবে আজ লোকালয়ে পানি প্রবেশ কিছুটা কমে যাবে কারণ বাঁধের অনেকাংশই আমরা বেঁধে ফেলেছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল খুলনার প্রধান প্রকৌশলী এ.কে.এম তাহমিদুল ইসলাম বলেন, পশ্চিম দূর্গাবাটি এলাকায় ভাঙন কবলিত বাঁধটি মেরামত কার্যক্রম চলছে। নদীর পানির তিব্র জোয়ারের কারণে মেরামত করাটা একটু বেশী সময় লেগেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই মেরামত কার্যক্রম শেষ হবে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online