মাস ছয়েক আগে দাঁতের চিকিৎসা করাতে ডাক্তারের কাছে যান গৃহবধূ বিজলী (ছদ্মনাম)। চেম্বারে ঢুকতেই তার প্রতি কুনজর পড়ে ডাক্তারের। চিকিৎসা করানোর নামে খাওয়ান ঘুমের ওষুধ। আর ওষুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন রোগী। জ্ঞান হারাতেই বিজলীকে ধর্ষণ করেন ডাক্তার। ধারণ করেন ভিডিও। মুঠোফোনে ধারণ করা সেই ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে টানা কয়েকদিন শারীরিক মেলামেশা করেন। এখানেই শেষ নয়,
নিজে টানা ধর্ষণের পর বন্ধুদের মুঠোফোনে শেয়ার করেন সেই ভিডিও। বন্ধুরাও ভিডিও ফেসবুকে ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে করতে থাকেন শারীরিক মেলামেশা। তবু ক্ষান্ত হননি তারা। ভিডিও মুছে ফেলার কথা বলে হাতিয়ে নেন টাকাও। কিন্তু ভিডিও সরাননি। উল্টো বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বার বার ধর্ষণ করেন। এভাবেই তিনজন মিলে টানা ছয় মাস সর্বনাশ করেন গৃহবধূর। ঘটনাটি মাদারীপুরের
কালকিনি উপজেলার। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ছায়েদুল হক কিরণ। তিনি সেবা ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল কেয়ারের চিকিৎসক। তার দুই বন্ধু হলেন মেহেদী হাসান শিকদার ও সোহাগ মিয়া। ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সেবা ওরাল অ্যান্ড ডেন্টাল কেয়ারে দাঁতের চিকিৎসার জন্য যান তিনি। এ সময় তাকে একটি ওষুধ খেতে দেন চিকিৎসক ছায়েদুল হক কিরণ। ওষুধ খাওয়ার পর তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখেন কিরণ।
সেই ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে কয়েকদিন টানা ধর্ষণ করেন। লোকলজ্জায় বিষয়টি কাউকে জানাতেও পারেননি তিনি। কিছুদিন ধর্ষণ করে সেই ভিডিও মেহেদী হাসান শিকদার ও সোহাগ মিয়াকে দেন কিরণ। পরে তারাও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন। এভাবে টানা ছয় মাস ধর্ষণ করেন তারা। গৃহবধূ আরো জানান, ভিডিও মুছে ফেলার আশ্বাস দিয়ে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেন সোহাগ। কিন্তু ভিডিও মুছে ফেলেননি। উল্টো ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা চাপ দিতে থাকেন। এখন ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না তিনিসহ পুরো পরিবার। কালকিনি থানার ওসি ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ছয় মাস আগের ঘটনা। জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছেন। তবে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online