সম্প্রতি সময়ে একটি মন্তব্যের জেরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (২১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এরশাদ হোসেন রাশেদ এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আপনি ভারত সরকারকে যে অনুরোধ করেছেন, এটা আপনি করতে পারেন না। কারণ সংবিধানে বলা হয়েছে, জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। আপনি সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনি মন্ত্রী পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
পদত্যাগের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই ব্যাখ্যা দেবেন। রোববার (২১ আগস্ট) নিবন্ধন অধিদপ্তরে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটা ওনাকে (পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে) জিজ্ঞাসা করেন। উনি কী বলতে চান, সেটি যেন জনগণের কাছে পরিষ্কার করেন। আনিসুল হক বলেন, আমি দেশের আইনমন্ত্রী। যদি ওনাকে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়, তাহলে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার অধিকার রয়েছে ওনার। আমি কোনো পক্ষকেই ওপিনিয়ন (মতামত) দিয়েছি-বোঝাতে চাই না।
তিনি বলেন, আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, এটা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য আমাদের দল বা সরকারের নয়। এটা হয়তো উনার ব্যক্তিগত মতামত। আমিও একই সুর মিলিয়ে বলব-এটা উনার ব্যক্তিগত মতামত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলাপ করে এ বক্তব্য দেননি বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে, গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাকে টিকিয়ে রাখতে পারলে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে যাবে। শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি।’ মন্ত্রীর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online