সাপের গায়ে পশম, এটাও বাস্তব! এরকম একটি পশমযুক্ত সবুজ সাপের খোঁজ মিলেছে থাইল্যান্ডের জলাভূমিতে। স্থানীয়রা হতবাক, এর আগে এমন প্রাণী কখনো দেখেননি তারা।
চেহারার বৈচিত্রের কারণে গবেষকরা এই প্রাণীর নামকরণ করেছেন ‘গ্রিন ফারি স্নেক’। নিউজভিত্তিক ওয়েবসাইট থাইগারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ডের সাখোন নাখোন প্রদেশের তু নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি
পশমযুক্ত সাপটি খুঁজে পান। সম্প্রতি আবিষ্কৃত এই সাপটির দেহে আঁশ নয়, বরং সাপের গায়েই থরে থরে সাজানো রয়েছে পশম। আর সেই পশমের রং বেশ গাঢ় সবুজ।
৪৯ বছর বয়সী লোকটি গত মাসের শেষের দিকে বাড়িতে হাঁটার সময় প্রাণীটিকে দেখতে পান এবং সেটিকে পরিবারের সদস্যদের দেখানোর জন্য একটি জারে করে বাড়িতে নিয়ে যান। তারাও হতভম্ব এমন সাপ দেখে।
দুই ফুট লম্বা সাপটিকে পানিতে ভরা একটি কন্টেইনারে রাখেন তারা এবং খাওয়ানো হচ্ছিল মাছ। সাপটি শনাক্তের জন্য খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেও। এদিকে, সাপটিকে দেখতে বাড়তে থাকে লোকজনের আনাগোনা।
কেউ সাপটিকে চিনতে পারছে কিনা তা শনাক্ত করার জন্য ওই পরিবারের একজন সাপটির ছবি তোলে এবং ভিডিও করে অনলাইনে পোস্ট করে। ফেসবুক পোস্টে অনেকে মন্তব্য নানান মন্তব্যও করেন সাপটিকে নিয়ে।
আহত প্রাণীদের উদ্ধার এবং চিকিৎসা করা একটি সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ এআরসির সাপের প্রজাতির সমন্বয়কারী স্যাম চ্যাটফিল্ড বলেন, প্রাণীটি একটি ঝাঁকুনিযুক্ত জলের সাপ হতে পারে যার আঁশের উপর শেত্তলা জন্মায়।
পৃথিবীর প্রায় সমস্ত সাপের দেহেই আঁশ লক্ষ্য করা যায় অন্যান্য সরীসৃপদের মতো। শীতল রক্তের প্রাণী হওয়ায়, এই আঁশই তাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে বাইরে থেকে। সেই সঙ্গে বুকে ভর দিয়ে চলার সময় মাটির সঙ্গে ঘর্ষণ কমায় আঁশ।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online