স্বামী প্রদীপ কুমার দাশ মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের আদেশ বয়ে বেড়ালেও তার অ’বৈধ সম্পদের অংশীদার স্ত্রী চুমকি কারণ দীর্ঘদিন ধরেই ছিলেন লা’পাত্তা। সন্তানদের নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’ নামে ছয়তলা বাড়িটিতে থাকতেন চুমকি। কিন্তু ২০২০ সালে সিনহা হ’ত্যাকা’ণ্ডে প্রদীপ গ্রে’ফতার হওয়ার পর থেকেই আ’ত্মগো’পনে চলে যান তিনি। এভাবে দীর্ঘ দেড়
বছরের বেশি সময় আ’ত্মগো’পনে থাকার পর সোমবার দুপুরে দু’দকের মা’মলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আ’দালতে আ’ত্মস’মর্পণ করে জা’মিনের আবেদন করেন চুমকি। শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কা’রাগা’রে পাঠানোর আদেশ দেন বি’চারক। একইদিন মা’মলাটির ত’দন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য
দিয়ে দু’দকের পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এ নিয়ে মা’মলাটিতে ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আগামী ২৯ মে আ’সামিপক্ষ থেকে রিয়াজ উদ্দিনকে জে’রা করার কথা রয়েছে। এদিকে, দীর্ঘ সময় আত্মগো’পনে থাকার পর প্রকাশ্যে আসায় ‘এতদিন কোথায় ছিলেন চুমকি’ এমনই প্রশ্ন ঘু’রপা’ক খাচ্ছে সর্বমহলে। কারো কারো মতে, চট্টগ্রামেই কোথাও লু’কিয়ে ছিলেন চু’মকি।
তবে বিভিন্ন তথ্যমতে- সীমান্ত পেরিয়ে ভা’রতে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ভা’রতের আগরতলা, কলকাতার বারাসাত ও গৌহাটিতে রয়েছে প্রদীপ-চুমকি দম্পতির নিজস্ব বাড়ি। লক্ষ্মীকুঞ্জ ফাঁ’কা করে সেখানেই পাড়ি জমান তিনি। প’লাতক থাকা অবস্থায় চুমকির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তার বাবা অজিত কুমার কারণ বলেছিলেন, মেয়ে কোথায় আছে সে ব্যাপারে আমি কিছুই জানি
না। চুমকির ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরও জানেন না বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সোমবার চুমকির আত্মসমর্পণের পর বাবা অজিত কুমার কারণের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, প’লাতক চুমকির অবস্থান সম্পর্কে আ’ইনশৃ’ঙ্খলা বা’হিনীর ভাষ্য ছিল- চুমকি যাতে দেশ ছেড়ে পা’লাতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্য’বস্থা নিতে ২০২০
সালের সেপ্টেম্বরে পু’লিশ সদর দফতরে চিঠি দেয় দুদক। এর বাইরে আর কোনো তথ্য জানাতে পারেনি আ’ইনশৃ’ঙ্খলা বা’হিনী। ফলে আ’ত্মস’মর্পণের পরও প্রশ্ন রয়ে গেছে- এতদিন কোথায় ছিলেন চুমকি। ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অ’বৈ’ধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রদীপ ও চুমকির বি’রুদ্ধে মা’মলাটি করেন দু’দক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। পরে গত বছরের ২৬ জুলাই আদালতে অ’ভিযো’গপত্র দাখিল করেন। এতে প্রদীপ ও চুমকির বি’রুদ্ধে তিন কোটি ৯৫
লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গো’পন ও মানি লন্ডারিংয়ের অ’ভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর অ’ভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হয়। ২০ সেপ্টেম্বর মা’মলার তদন্ত কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মা’মলার এজাহারে উল্লিখিত সম্পত্তি ক্রো’কের নির্দেশ দেয় আ’দালত। ১৫ ডিসেম্বর এ মা’মলায় তাদের
বি’রুদ্ধে চার্জ গঠন হয়। এর আগে, প্রদীপের বি’রুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় ২০১৮ সালের জুন মাসে অনুসন্ধান শুরু করেছিল দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রদীপ ও চু’মকির নামে অ’স্বাভাবিক সম্পদের তথ্যও পান দুদক কর্মকর্তারা। এরপর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য বলা হলে একই বছরের মে মাসে দুদকে বিবরণী জমা দেন তারা। দু’দকের
দেয়া অ’ভিযোগপত্রে বলা হয়, নগরীর পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, পাঁচলাইশে বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি ব্যক্তিগত গাড়ি, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব এবং কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। তার চার কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১
টাকার স্থাবর-অ’স্থাবর স’ম্পদের বিপরীতে বৈ’ধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় দুই কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। এক্ষেত্রে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অ’বৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য
ব্যবসায়ী দাবি করলেও এ ব্যবসায়ের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পাথরঘাটার ছয়তলা বাড়ির বিষয়ে চুমকি সে সময় দুদককে জানান, ২০১৩ সালে বাড়িটি তার বাবা তাকে দান করেন। যদিও চুমকির অন্যান্য ভাই ও বোনদের তার বাবা কোনো সম্পত্তি দান
করেননি। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সালে শ্বশুরের নামে বাড়ির জমি কেনেন প্রদীপ। এরপর ছয়তলা বহুতল ভবন গড়ে তোলেন।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online