বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনারস অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওভিএমএ) বোতলজাত সয়াবিন তেলের খুচরা মূল্য লিটার প্রতি রেকর্ড পরিমাণ ৩৮ টাকা বাড়িয়েছে।
ঈদের ছুটির আগে জমা দেওয়া বিভিওভিএমএ-এর প্রস্তাবিত মূল্যের রেট অনুমোদন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে, যা ৬ মে কার্যকর হয়েছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য এখন দাঁড়িয়েছে ১৯৮ টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১৮০ টাকা এবং পাম তেল লিটার প্রতি ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের তুলনায় ভারত, পাকিস্তান ও নেপালে রান্নার তেলের দাম বেশি।
প্রতিবেশী ভারতে সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ২১৩.৪১ টাকা থেকে ২২৪.৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে সূর্যমুখী, চিনাবাদাম তেল এবং ক্যানোলাসহ রান্নার তেলের দাম কোভিড সংক্রমণের আগের চেয়ে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ বেড়েছে। পাকিস্তানের ডেইলি ডন পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নবগঠিত সরকার আকস্মিকভাবে ভোজ্যতেল ও ঘি-এর দাম অস্বাভাবিকভাবে ২০৮ রুপি ও ২১৩ রুপি বৃদ্ধি করায় সর্বকালের সর্বোচ্চ দাম প্রতি কেজি ৫৫৫ রুপি এবং প্রতি লিটার ৬০৫ রুপিতে পৌঁছেছে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ইউটিলিটি স্টোরস কর্পোরেশন (ইউএসসি) ভোজ্য তেলের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, নতুন দাম ১ জুন থেকে কার্যকর হবে। পাকিস্তানি ইংরেজি দৈনিকটি আকস্মিক ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি জানার জন্য সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছিল। তবে, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কেউই মন্তব্য করেননি। এদিকে নেপালে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের জন্য প্রায় ১৯৭.১৫ টাকা থেকে ২১৪.৭৫ টাকা খরচ করতে হয়।সূত্র-বাসস।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online