আমার শরীর পুড়ে গেছে। আমি হয়তো আর ফিরব না। মামা আমার কলিজার টুকরাকে আর দেখা হলো না। তুমি একটু দেখে রাখিও।’ মৃত্যুর আগে মামা মীর হোসেনকে ফোন করে এসব কথা বলেছিলেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান (৩২)।
মৃত্যুর আগে ভাগ্নের বলা কথাগুলো উচ্চারণ করে হাউমাউ করে কাঁদছেন মামা মীর হোসেন। তার আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। মনিরের বড় মামা মীর হোসেন সকালে হাসপাতালে এসে ভাগনের মরদেহ শনাক্ত করেন।
শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানও (৩২) রয়েছেন। তিনি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে। মনির আট বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন। গেল দুই মাস আগে তিনি কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগদান করেন। তার দুই মাস বয়সী এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
সীতাকুণ্ডের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম যে ৫ জন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন তাদের একজন ছিলেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান। গত এপ্রিলে তিনি ঢাকা থেকে পোস্টিং নিয়ে আসেন কুমিরা ফায়ার সার্ভিসে। মাস পেরোতে না পেরোতেই তার জীবনে নেমে এলো অন্ধকার। সীতাকুণ্ডের ডিপোতে এই অগ্নিনির্বাপক কর্মীর অকাল মৃত্যু তার পরিবারকেও গভীর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিয়েছে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online