বরিজহাটি নামক একটি জায়গায় ধরা পড়ল একটি বিষাক্ত সাপ। তবে এই সাপ ধরার দৃশ্য একেবারে আলাদা। যা দেখলে রীতিমতো ভয়ে তটস্থ হবেন যে কেউ। সাপকে এমনিতেই সকলে ভয় পায়।
তার ওপর আবার যদি বিষাক্ত গোখরো সাপ হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নয়। সাপের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলে মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীরা। বহুকাল আগের ভাঙাচোরা বাড়িতে বসবাস করে একটি পরিবার।
বাড়ি গুলোর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যে বহুকাল আগের বাড়ি। কড়ি বর্গা দিয়ে তৈরি বাড়ি এখনকার দিনে আর দেখা যায় না। এমনিতেই এইসব ভাঙাচোরা বাড়িতে সাপের আস্তানা হয়। খানাখন্দে কখন যে সাপ ঢুকে বসে থাকে সে ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা যায় না।
সাপ ধরার জন্য ডাকা হয় এক ব্যক্তিকে। তিনি এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।রাত্রিবেলায় মশারির উপরে সাপ দেখতে পেয়ে ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন বাড়ির লোকজন।
সেই সময় সাপ ধরতে ওস্তাদ এক ব্যক্তিকে খবর দিলে তিনি ফোন সাইলেন্ট থাকার কারণে বুঝতে পারেননি। পরের দিন সকালবেলা যখন দেখতে পেলেন যে তার ফোনে মিসকল রয়েছে, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে।
অবশেষে তিনি কল ব্যাক করার পর ঘটনাটি জানতে পারেন এবং উপস্থিত হন সাপ ধরার জন্য।প্রথমে আমাকে একটি বাড়িতে এসে সোজা চলে যান যে ঘরের মধ্যে মশারী টাঙ্গানো অবস্থায় মশারির উপর একটি বিষধর গোখরো সাপ উঠে বসে ছিল।
এসেই তিনি নিজের পরিচয় দেন এবং সাপের দেখা পেলে, তার টিমের সঙ্গে যাতে দ্রুত যোগাযোগ করা হয় সেই কথাই বলেন তিনি। এসে তিনি দেখতে পান মশারির উপরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশাল বড় একটি গোখরো সাপ।
না সে মশারি থেকে নিচে নামতে পারছে, আর না অন্য কোনভাবে বেরিয়ে যেতে পারছে।প্রথমে ওই ব্যক্তি কোন লাঠির সাহায্য ছাড়াই নিজের হাত দিয়ে সাপটির লেজ ধরে নেন। এরপর তিনি সাপটিকে নিয়ে সোজা ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসে।
এরপর তিনি সবাইকে জানান যে সেটি একটি গোখরো সাপ। তার দেখাদেখি যেন কেউ এভাবে সাপ ধরার মতন সাহস না দেখায় সেই বিষয়ে সাবধান করে দেন তিনি। সাপটি বারবার তেড়ে যাচ্ছিল ওই ব্যক্তির দিকে।
এরপর ওই ব্যক্তি জানান, যদি কখনো এই সাপে কামড়ায় তাহলে সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে সোজা হাসপাতালে যেতে। কোন সাপে কামড়েছে না জানলেও সোজা হসপিটালে নিয়ে যাওয়াটাই উচিত।
পরিবর্তে যদি কেউ ওঝা কিংবা তান্ত্রিকের কাছে ঝাড়ফুঁকের জন্য নিয়ে যান তাহলে প্রাণসংশয় ঘটতেই পারে। একমাত্র ডাক্তার ছাড়া এই সাপের কামড় থেকে বাঁচাতে পারবেন না কেউ। একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেন ওই ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তি জানান যেন সকলেই মশারি টানিয়ে ঘুমান। মশারি ছিল বলেই সাপটি কোনভাবে মশারির ভিতরে ঢুকতে পারেনি। বিছানার মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় বিপদ ঘটে যেতে। বেশ কয়েকজন ঘুমিয়েছিলেন মশারির ভিতর।
শুধুমাত্র মশারি থাকার কারনে বেঁচে গিয়েছেন তারা। সমিরন বারিক নামক জনৈক ব্যক্তি নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সাম্প্রতিক এইসব ধরার ভিডিওটি পোস্ট করেছেন। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ভিডিওটি। সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি দর্শক ইতিমধ্যেই ভিডিওটি দেখে নিয়েছে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online