অবশেষে ধর্ষণের মামলা থেকে রেহাই পেলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথেরিন মায়োরগার অভিযোগ ছিল ২০০৯ সালে লাস ভেগাসে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্কের। কিন্তু মামলার নথিতে অসদুপায়
অবলম্বন করায় এই মামলা খারিজ করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালত। ছবি: সংগৃহীত ছবি: সংগৃহীত খেলার সময় ২ মিনিটে পড়ুন মামলাটির রায়ে বিচারক জেনিফার ডরসি জানান, ‘অত্যন্ত উঁচু মানের একজন ব্যক্তির বিপক্ষে এই মামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছেন মায়োরগা। অসদুপায়ে অর্জিত নথি তার এই অভিযোগকে অতিরঞ্জিত করেছে এবং মামলার অন্যান্য ভিত্তিকে শক্ত করেছে। ফলে শুধু তার স্মৃতি
ও মূল কিছু বিষয়ে তার উপলব্ধির ওপর ভিত্তি করে অন্য কোনো রায় দেয়া ভুল হতো।’ ৪২ পৃষ্ঠার নথিতে ডরসি উল্লেখ করেন, এই মামলায় ব্যবহার করা নথি মায়োরগার আইনজীবী লেসলি স্টোভাল সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। এমন অসদুপায় অবলম্বনের পরে এই মামলা চালানোর কোনো ভিত্তি থাকতে পারে না। তাছাড়া এই নথি ব্যবহার কের তিনি মায়োরগার স্মৃতি বিগড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে।
যার ওপর ভিত্তি করেও মামলার রায় দেয়া সম্ভব ছিল না বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক ডরসি। যার কারণে মালমাটি খারিজ করে দেন তিনি। আরও পড়ুন: প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে পোলিশদের বিপক্ষে ড্র অরেঞ্জদের মায়োরগার আইনজীবী স্টোভাল মূলত এই ধর্ষণ মামলার নথি সংগ্রহ করেছিলেন ফুটবলের বিভিন্ন ফাঁস হওয়া তথ্যের জন্য বিখ্যাত রুই পিন্টোর কাছ থেকে। বিচারক জেনিফার ডরসি এইসব নথিকে গোপনীয়
হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যার ফলে এসব প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘চুরি করা গোপনীয় নথিগুলোকে স্টোভাল বারবার এই মামলায় ব্যবহার করে গেছেন, যা অসৎ আচরণের ইঙ্গিত দেয়। আর রেকর্ডে দেখা যাচ্ছে, তিনি আর মায়োরগা এই নথিগুলোকে বারবার যাচাই করে দেখেছেন, আর মায়োরগার অভিযোগের স্বপক্ষে ব্যবহার করেছেন। স্টোভাল ইচ্ছাকৃতভাবে
তার প্রতিপক্ষের ব্যক্তিগত, গোপনীয় যোগাযোগগুলোতে বাগড়া দিয়েছেন। যখন তিনি নথি হাতে পেয়েছেন, তখন তিনি নৈতিক নির্দেশনা না মেনেই স্পর্শকাতর নথিগুলো সামাল দিয়েছেন।’ বিচারক যোগ করেন, ‘নথিগুলো তিনি তার মক্কেলের হাতে তুলে দিয়েছেন, যার ফলে এসব নথি তার মক্কেলের স্মৃতিকে বিগড়ে দিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। আর তিনি (স্টোভাল) সেই নথির ওপর ভিত্তি করে
তার অভিযোগ তৈরি করেছেন, যা বাদীর (মায়োরগা) শপথ যাচাইয়ে প্রমাণিত হয়েছে।’ তবে এখানেই হয়তো মামলা প্রাণ হারাচ্ছে না। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানাচ্ছে, স্টোভাল ও মায়োরগা সান ফ্রান্সিস্কোতে যুক্তরাষ্ট্রের নবম সার্কিট অব কোর্ট এ আপিল করতে পারেন। আরও পড়ুন: প্রতিশোধ মিশনে ব্যর্থ ইংল্যান্ড, জার্মানিকে রুখে দিল হাঙ্গেরি এর আগে মায়োর্গার আইনজীবী তার বরাতে অভিযোগ আনেন, রোনালদোর সঙ্গে তার মক্কেলের সাক্ষাত হয়েছিল লাস ভেগাসের একটি নাইট ক্লাবে। সেখান থেকে মায়োর্গাকে নিয়ে নিজের হোটেলে যান
পর্তুগিজ তারকা। তারপর বেডরুমে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেন। সে সময় আমেরিকান মডেলের বয়স ছিল ২৫, অন্যদিকে রোনালদোর ২৪। রোনালদোর আইনজীবী অবশ্য মায়োর্গার সঙ্গে ২০০৯ সালে সাক্ষাত ও শারীরিক সম্পর্ককে অস্বীকার করছেন না। তবে তারা ধর্ষণের অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online