চলতি কাতার বিশ্বকাপে টিকে থাকার সমীকরণ মাথায় নিয়ে মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। তবে ‘সি’ গ্রুপের সেই ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে মেসিবাহিনী। লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল নিষ্প্রাণ, গোলশূন্য। বিরতির পর আর্জেন্টিনা একটু খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে।
ম্যাচের ৫১তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিক ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬৪তম মিনিটে ডান দিক থেকে ডি-মারিয়ার স্কয়ার পাসটি ধরলেন মেসি। দু-এক পা এগোলেন। এরপর বক্সের বাইরে থেকেই তাঁর বাঁ পায়ের নিখুঁত শটটি ওচোয়াকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়ালে টেনশন ঝেড়ে জেগে ওঠে লুসাইল স্টেডিয়াম।
আর সেই জাগরণে তরুণ ফার্নান্দেজ বদলি হয়ে নেমে ৮৭ মিনিটে করে বসেন আরেক গোল। এই গোলের উৎসও ছিলেন মেসি। দুর্দান্ত সেই গোলের পর পথহারা আর্জেন্টিনা পথে আছে ভালোভাবেই। এই জয়ের ফলে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপের দুই নম্বরে রয়েছে আর্জেন্টিনা।
এদিকে সমান পয়েন্ট সৌদি আরবেরও। তবে তারা মেসিদের চেয়ে ২ গোলে পিছিয়ে আছে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে পোল্যান্ড। এই গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। এদিকে শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডকে হারাতে পারলেই ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে নকআউট পর্বে উঠে যাবে আর্জেন্টিনা।
মেসি জানে কীভাবে সেরাটা দিতে হয়: আর্জেন্টাইন কোচ
গতকালের ম্যাচে প্রথমার্ধে বাজে ফুটবল খেলা আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে হারিয়ে দিয়েছে মেক্সিকোকে। ডু অর ডাই ম্যাচে ২-০ গোলের জয়ে শেষ ষোলোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো মেসি-মারিয়াদের। মূলত অধিনায়ক মেসি ও বদলি খেলোয়াড়রাই পাল্টে দিয়েছে ম্যাচের গতিপথ। ম্যাচের ৬০ মিনিটেও গোলশূন্য ছিল আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচ।
এরপর মেসি ম্যাজিকে মুহুর্তেই ঘুরে যায় ম্যাচের গতিপথ। ডি মারিয়ার দুর্দান্ত এক পাসে ২৫ গজ বাইরে থেকে ডেডলক ভাঙেন মেসি। পরে দুর্দান্ত এক গোল করেছেন এনজো ফার্নান্দেজও। ম্যাচশেষে আলবিসেলেস্তেদের কোচ লিওনেল স্কালোনি, প্রশংসায় মেতেছেন শিষ্যদের। জানিয়েছেন, মেসি জানে কীভাবে দলে সেরাটা দিতে হয়।
কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘ম্যাচটা খুবই কঠিন হতে যাচ্ছে এটা আমরা জানতাম। কারণ, তারা সাধারণত যেভাবে খেলে, তার চেয়ে ভিন্ন এক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে। আমরা ধারণা করেছিলাম তারা ৫ জন ডিফেন্ডার নিয়ে খেলতে পারে। প্রথমার্ধ ভালো যায়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভুল শুধরে নিয়েছি ও ভালো খেলেছি। মাঝমাঠে কিছু লড়াই তারা জিততে পারেনি এবং আপনারা দেখেছেন কী হয়েছে। মেসি ম্যাচের ইতি টেনে দিয়েছে এবং সে জানে কীভাবে সেরাটা করতে হয়। পুরো দল তার পাশে ছিল।’
ম্যাচের প্রথম আধঘণ্টায় অনেকটাই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলছিলেন আর্জেন্টিনা। এই হতাশা নিয়েই বিরতিতে গিয়েছিল মেসিরা। স্কালোনির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখন দলের অবস্থা কেমন ছিল? স্কালোনি বলেছেন, ‘আমি ছেলেদের সর্বোচ্চ নম্বর দেব। কারণ, তারা দুর্দান্ত এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে কঠিন এক ম্যাচ খেলেছে। বিরতির সময় ড্রেসিংরুম খুব ভালো ছিল। ম্যাচটা কঠিন ছিল, আমরা জানতাম যে ৩–০ গোলে জেতা যাবে না।’
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online