বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন থেকে অনেকেই রাজনীতিতে এসেছেন। বিশেষ করে সাবেক ক্রিকেটার এবং ফুটবলারদের রাজনীতিতে জড়ানোর ইতিহাস বেশ পুরোনো।
তবে রাজনীতি করার কারণে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের মতো জেল-জুলুমের শিকার কম ক্রীড়াবিদ-ই হয়েছেন। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘসময় কারাবন্দি থাকা অবস্থায় নির্যাতনের শিকারও হন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক।
অন্যদিকে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসান সোনার চামচ মুখে রাজনীতিতে এসেছেন। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের টিকিটে তারা নির্বাচন করেছেন, ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছেন সংসদ সদস্য।
এর মধ্যে মাশরাফি নড়াইল থেকে দুইবার ও সাকিব মাগুরা থেকে একবার সংসদে আসন পান।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে লেজ গুটিয়ে পালায় আওয়ামী লীগ সরকার। তখন থেকেই দৃশ্যপটে বাইরে রয়েছেন মাশরাফি। আর সাকিব স্বেচ্ছা নির্বাসনে দেশে-দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সম্প্রতি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে সাফজয়ী ফুটবলার এবং ত্যাগী রাজনীতিবিদ আমিনুলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মাশরাফি-সাকিব সম্পর্কে। এই দুই ক্রিকেটারের রাজনীতি নিয়ে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক গোলকিপারের মূল্যায়ন, ‘তারা (মাশরাফি-সাকিব) তো সুবিধাবাদী। তারা অবৈধ সংসদের
রেডিমেড সংসদ সদস্য হয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’
রাজনীতির ময়দানে নিজেদের জায়গা করে নিতে রাজনীতিকদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার প্রয়োজন হয়। কিন্তু মাশরাফি-সাকিব সে তুলনায় একেবারেই
আনাড়ি হিসেবে রাজনীতিতে এসেছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রাম তো দূরের কথা, রাজনীতির ময়দানে ন্যূনতম যোগ্যতার স্বাক্ষর না রেখেই তারা ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা সংসদ পর্যন্ত পৌঁছে যান।
আমিনুলের ভাষায়, ‘তারা রাজনীতিতে তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি। তারা আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে ওঠেনি। তারা জেল খাটেনি। তাদের সাথে আমাকে মেলালে ঠিক হবে না।’
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online