পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সুপারিশক্রমে রোববার (৩ এপ্রিল) পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ফলে পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৮ (১) ও ৪৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইমরান খান আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেই। রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে পাকিস্তানের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে রোববারই পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধীদল। তবে স্পিকার বিষয়টিকে অসংবিধানিক বলে উল্লেখ করে নাকচ করে দেন। এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করেন প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রেসিডেন্ট তা অনুমোদন দেন। এতে আগামী তিন মাসের মধ্যে পাকিস্তানে আগাম সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা।
এদিকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এজাজ এ. দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধান অনুযায়ী ইমরান খান আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নেই। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চাপান-উতর চলছে। অবশেষে রোববার এই প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তা খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। একইসঙ্গে এটিকে সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থি হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এরপরই প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খান বলেন, স্পিকারের সিদ্ধান্তের জন্য আমি প্রতিটি পাকিস্তানিকে অভিনন্দন জানাই। অনাস্থা প্রস্তাব আমাদের বিরুদ্ধে একটি বিদেশী ষড়যন্ত্র ছিল। পাকিস্তানের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত যে কে তাদের শাসন করবে।

প্রধানমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াইয়ে ইমরান খান জয়ী হবেন কি না, সে প্রশ্নে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোট ছিল রোববার। এদিন দুপুরে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতেই ওই প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার পর ডেপুটি স্পিকার কাশিম সুরি তা খারিজ করে দেন। ব্যাপারটিকে তিনি আখ্যা দিয়েছেন ‘অসাংবিধানিক’ বলে। ষড়যন্ত্রের কারণে এই প্রস্তাব তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কাশিম সুরি। এরপরই অধিবেশন মুলতবি করেন তিনি। এক পর্যায়ে বিরোধী দলগুলোর তোপের মুখে পড়েন তিনি।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online