জামালপুর থেকে বিয়ের দাবিতে বরগুনায় আসা তরুণীকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নিতে তিনটি শর্ত দিয়েছেন মাহমুদুল হাসানের বাবা। বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করে এসব শর্ত পূরণের প্রস্তাব দিয়েছেন যুবকের বাবা মোশাররফ হোসেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ সোনা মিয়া।
ইউপি চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ শুক্রবার সকালে বলেন, মাহমুদুল হাসানের বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে চান্দখালী বাজার সংলগ্ন তার ভাড়া বাসায় আসেন। এ সময় ওই বাসায় অবস্থান নেওয়া তরুণীর সঙ্গে তিনি কথা বলেন। বিয়ের দাবি মানতে তিনি তরুণীকে তিনটি শর্ত দেন। শর্তগুলো হলো, ওই তরুণীর আগের বিয়ের তালাকনামা দেখানো, অভিভাবক (বাবা—মা) নিয়ে আসা ও মিডিয়ায় কথা না বলা। এসব শর্ত পূরণ করলে তিনি তার ছেলে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে দেবেন। তবে শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি।
চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ আরও বলেন, জামালপুর থেকে আসা ওই তরুণী মাহমুদুল হাসানের বাবার শর্ত মেনে নিয়ে আপাতত মোশাররফ হোসেনের ভাড়া বাসাতেই অবস্থান করবেন। তবে শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে বিয়ের দাবি মেনে নেবেন না মাহমুদুল হাসানের বাবা মোশাররফ হোসেন। শর্তের বিষয়ে ওই তরুণীর গণমাধ্যমের কাছে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এছাড়াও মাহমুদুল হাসানের বাবাও কোনো মন্তব্য করেননি।
ইউপি চেয়ারম্যান হারুণ অর রশিদ বলেন, আমরা ছেলের বাবা, মামা ও ফুপুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বৈঠকে বসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাকে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে সেটা পূরণ করলে মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে তাঁর বিয়ের দাবি মেনে নেওয়া হবে। যেহেতু বিষয়টি আলোচিত, এ কারণে মেয়েটির লিগ্যাল গার্ডিয়ান ছাড়া বিয়ে সম্ভব নয়। যদি তাঁর বাবা–মা ও আগের বিয়ের তালাকনামা হাজির করতে পারে তবেই বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। আপাতত এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল জামালপুরের এক তরুণী বিয়ের দাবিতে ঢাকা থেকে বরগুনায় এসে এক যুবকের ভাড়া বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেন। সে সময় ওই তরুণী জানান, জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে তাঁর গ্রামের বাড়ি। এ ছাড়াও ঢাকার উত্তরায় থাকেন এবং সেখানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। ওই তরুণী আরও দাবি করেন, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজিতে (আইইউবিটি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে পরিচয়ের সূত্রে তরুণীর প্রেম হয়।
মাহমুদুল হাসানও রাজধানীর উত্তরায় থেকে পড়াশোনা করেন। তিন বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের জন্য সম্প্রতি চাপ দিলে মাহমুদুল নানা অজুহাতে এড়িয়ে যেতে থাকেন। রোজার শুরুতে মাহমুদুল গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। বাড়িতে আসার পর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দেন। কয়েক দিন ধরে তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ। এরপরই তরুণী বরগুনায় এসে চান্দখালী বাজার সংলগ্ন মাহমুদুলের বাসার সামনে অবস্থান নেয়। এরপরই মাহমুদুল ও তাঁর পরিবার বাসায় তালা দিয়ে গা ঢাকা দেন।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online