মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করায় শরিয়তপুরে এক মুসলিম বাবা তার ছেলেকে ত্যাজ্য করেছেন। ওই বাবার নাম মো. সেলিম মাস্টার (৫৫)। বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া-সিংগারিয়া। আর অভিযুক্ত ছেলের নাম মো. রাজিব। রাজিব এখন জার্মানি আছেন বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে শরিয়তপুর আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ছেলেকে ত্যাজ্য করেন তিনি। এর আগে গতকাল বুধবার থেকে প্রিয়নবীকে (স.) নিয়ে কটূক্তি ও অকথ্য ভাষা ব্যবহার করার ৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
ওই ভিডিও দেখে অনেকে ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় তোলেন। রাজিবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। হলফ নামার মাধ্যমে মো. সেলিম মাস্টার জানান, আমি এই মর্মে হলফ পূর্বক
ঘোষণা করছি, আমার ধর্ম ইসলাম এবং আমি বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক ও বাসিন্দা। আমার হলফ করার আইনগত অধিকার আছে। আমার দুই ছেলে তিন মেয়ে বর্তমান জীবিত আছে। আমার ছোট ছেলে মো. রাজিব। সে কয়েক বছর যাবত ইসলামবিরোধী মনোভাব নিয়ে চলছিল। কিন্তু তাকে অনেক বুঝিয়ে ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনতে পারিনি।
সে আমাদের কোন কথা না মেনে বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করে। এই সকল খারাপ কাজ ও বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করার কারণে আমি তাকে সঠিকভাবে জীবন যাপন করার পরামর্শ দিই। কিন্তু সে আমার পরামর্শ না মেনে আমার ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে দূরে সরে যায়। তার এরূপ আচরণের কারণে জনসম্মুখে আমরা নানা প্রকার প্রশ্নের সম্মুখীন ও হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছি।
৬ মাস আগে আমাদের পরিবারকে কিছু না জানিয়ে রাজিব বিদেশ চলে যায় ও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, গতকাল থেকে রাজিবের একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করায় আমি ত্যক্ত বিরক্ত ও মনে গভীর কষ্টে ভুগছি।
তাই রাজিবের সঙ্গে বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিন্ন করার মনস্থির করি। আজ থেকে বাবা-ছেলের সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। রাজিব আমার ছেলে না এবং আমি তার বাবা নই। সেলিম মাস্টার আরও বলেন রাজিব আমাকে বাবার পরিচয় নিয়ে কোনো কার্যকলাপ করলে আমি দায়ী না। আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করলাম। আমি রাজিবকে ত্যাজ্যপুত্র ঘোষণা করলাম।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online