৭ম শ্রেনীর ছাত্র ও ৫ম শ্রেনীর ছাত্রীর ভালোবেসে বিয়ে

সামাজিক বন্ধন বিবাহের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন নীতির তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।সাম্প্রতিককালে হাইমচর উপজেলার অসাধু কতিপয় কাজিরা ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগসাজশ রেখে বিবাহের কথা গোপন করে কোন রকম জন্ম সনদ বের করে সামাজে বাল্য বিবাহ প্রথা চালু রাখছেন।

এমনই এক ঘটনায় অনুসন্ধান করে জানা যায়, হাইমচরের ৪ নং নীলকমল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চকিদার কান্দির মোঃ শফিক মিজি ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আঃ

রহমানের সাথে বাবা মায়ের অনুপস্থিতিতে পাশের বাড়ির দুদু মিয়ার কন্যা ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী সারমিন আক্তার জরিনার মধ্যে বাল্য বিবাহের রেজিঃ নথিভূক্ত করা হয়েছে। যার পৃষ্ঠা নং-১, বাংলাদেশ ফরম নং ১৬০১(ফরম‘ঘ”)।

রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে ঘৃন্য এই কাজটি করেন নীলকমল ইউনিয়ননের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজি ও নিকাহ রেজিষ্টার মোঃ ইউসুফ মিয়া।ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়,নীলকমল ইউনিয়নের বাংলাবাজারের মোঃ সফিক মিজির ছেলে আঃ রহমান ৩৮ নং

চরকোড়ালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সমপানী পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী এবং একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী জরিনার কাজি ডেকে আঃ রহমানের সাথে বিবাহ দেন।হাইমচরে অসাধু ওই কাজি এই তারিখ পরিবর্তন করে বিবাহ রেজিষ্টারের আঃ রহমান বয়স ২২ বছর এবং কনের বয়স ১৮ বছর করে নিকাহ রেজিষ্টার ভূক্ত করেন।

জোরপূর্বকভাবে অভিভাবক পরিচয় দিয়ে সানু পেদা, বাংলাবাজারের শাহআলম ও জয়নাল দাড়িয়ে থেকে বিবাহের কাজ সম্পূন্ন করে । বিবাহের কাবিন নামায় স্বাক্ষর করেন সেলিম মিয়া ও মোঃ নজরুল ইসলাম।

জরিনা ও রহমানের বাল্য বিবাহের বরের উকিল নিয়োগ করা হয় মোঃ শেরাজল হাওলাদার ও কনের উকিল বাবা নিয়োগ করেন মোঃ হযরত আলী।আমার নাবালক ছেলেকে কারা বিবাহ দিয়েছে, তা আমি জানি না। যারা আমার ছেলেকে বাল্য বিবাহ দিয়েছে তাদের বিচার দাবি করছি।

Check Also

Health for Life Nutrition A Guide to Living Well

Health for Life Nutrition A Guide to Living Well

In today’s fast-paced world, maintaining good health can seem overwhelming. But the truth is, a …