জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাহার আফসার। অভিনয়ে দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়ে বহু আগে। ভোজপুরি এই নায়িকা বেশ জনপ্রিয় ছিলেন বলিউডে। তবে এবার অভিনয়কে চিরতরে বিদায় দিয়ে হাঁটলেন ধর্মের পথে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইন্সটাগ্রামে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সেই পোস্ট তিনি লেখেন, ‘সবাইকে জানাতে চাই যে, আমি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছি। আর এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না। বাকি জীবনটা ইসলামের শিক্ষা এবং আল্লাহর নিয়ম মেনেই কাটিয়ে দিতে চাই। অতীতে আমি যেভাবে জীবন কাটিয়েছি, তার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি। বিপুল সাফল্য আর অর্থ পেয়েও আমি তৃপ্ত ছিলাম না।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কারণ, আমি ছোটবেলায়ও এই ধরনের জীবনযাপন করার কথা ভাবিনি। হঠাৎ করেই এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমি এসে পড়ি আর এগিয়ে যেতে থাকি। কিন্তু এর সবকিছুই শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বিনোদন দুনিয়া থেকে বিদায় নিচ্ছি ঠিকই, তবুও চাইব আমার সিদ্ধান্তকে সবাই সম্মান করুক। আমার জন্য প্রার্থনা করবেন যাতে আল্লাহ আমার সহায় থাকেন। আমি যাতে আমার স্রষ্টার আইন মেনে চলতে পারি সেই কামনা করবেন।’
প্রসঙ্গত, এর আগেও বলিউডের অনেকেই অভিনয় ছেড়ে ইসলাম কিংবা সংশ্লিষ্ঠ অন্য কোনো পালনে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
এ যেন আরেক কাশ্মীর, প্রিয়জনকে নিয়ে একদিনেই ঘুরে আসুন বাংলার কাশ্মীরে
কাশ্মীরের সৌন্দর্য বিশ্বের সব পর্যটককেই মুগ্ধ করে। সেখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সবাইকে আকর্ষিত করে। তবে চাইলেও অনেকেই যেতে পারেন না কাশ্মীরে। তারা কিন্তু সহজেই ঘুরে আসতে পারেন ‘বাংলার কাশ্মীর’ থেকে। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! ভাবছেন, দেশের মধ্যে আবার বাংলার কাশ্মীর কোথায়?
একদিকে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ অন্যদিকে সবুজ নীলাভ রঙের জল খেলা করছে। তার অন্যপাশে ভারতের মেঘালয়ের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে। আর নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পাথর। এ যেন শিল্পীর হাঁতে আঁকা অসাধারণ এক ছবি। দেশের মধ্যেই এমনই সুন্দর এক দৃশ্য নিজ চোখে উপভোগ করতে পারবেন। এ যেন টুকরো কাশ্মীর। বলছি, সুনামগঞ্জের শহীদ সিরাজ হ্রদ বা শহীদ সিরাজ লেকের কথা। এটি দেশবাসীর কাছে নিলাদ্রি লেক বলেই পরিচিত। প্রকৃতির বিষ্ময়কর এই স্থানটি পর্যটকদের মন কেড়েছে।
নিলাদ্রি লেক নামকরণের কারণ হলো এই হ্রদের পানির রং সবুজ নীলাভ বর্ণের। যা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না। ভারতের মেঘালয় সীমান্ত ঘেঁষা বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত এই স্থানটি। নীলাদ্রি লেক ভ্রমণের এখনই উপযুক্ত সময়। এ সময় সেখানে গেলে কিছু দূরের শিমুল বাগানও ঘুরে আসতে পারবেন। এ সময়টাইতেই শিমুল বাগান ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। বাইকে করে যেতে হয় নিলাদ্রি লেকে।
যেতে যেতে আপনি উপভোগ করবেন গ্রামীণ পরিবেশ ও সংস্কৃতির স্বাদ। মাটির রাস্তার দু’পাশে দেখবেন সারি সারি সবুজ গাছপালা। রাস্তার অদূরেই আছে সবুজ পাহাড়। নীলাদ্রি লেকে ঘুরে বেড়ানোর জন্য আপনি নৌকা পাবেন। নীলাদ্রি লেকের পাশে রয়েছে সিমেন্টের তৈরি বসার জায়গা। চাইলে একটু বসতে পারেন। সেখানে বসেও সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
এর পাশেই আছে চায়ের টং দোকান। এক কাপ চায়ে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করতে পারবেন সেখানকার সবটুকু সৌন্দর্য। চাইলে একদিনেই ঘুরে আসতে পারেন নিলাদ্রি লেকে। এজন্য রাতের বাসে টিকিট কাটুন। তাহলে ভোর হতেই পৌঁছে যাবেন সুনামগঞ্জে। নীলাদ্রি ভ্রমণে গেলে চাইলে টাঙ্গুয়ার হাওড়, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগানও ঘুরে আসতে পারেন। তবে হাতে বেশি সময় থাকলে সুনামগঞ্জের সব দর্শনীয় স্থান থেকে ঘুরে আসতে পারবেন
কীভাবে যাবেন নিলাদ্রি লেকে? ঢাকা থেকে সড়কপথে সুনামগঞ্জ যেতে হবে প্রথমে। এরপর মোটরসাইকেল বা সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে (জনপ্রতি ১০০ টাকা) তাহিরপুর উপজেলা অথবা লাউড়েরগড় যেতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে এগোলেই যাদুকাটা নদী ও বারিক্কা টিলা।
এরপর মোটরসাইকেল ভাড়া করে সীমান্ত দিয়ে টেকেরঘাট, ভাড়া জনপ্রতি ৭০-৮০ টাকা। বর্ষায় তাহিরপুর থেকে নৌকায় যাওয়ার ভাড়া জনপ্রতি ৬০-৭০ টাকা। এজন্য সময় লাগবে দুই ঘণ্টা। শুকনো মৌসুমে জনপ্রতি ১০০ টাকা ভাড়ায় মোটরসাইকেলে টেকেরঘাট যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন ও খাবেন? নিলাদ্রি লেকের আশেপাশে থাকার জন্য তেমন ভালো কোনো হোটেল নেই। বড়ছড়া বাজারে কয়েকটি গেস্ট হাউজ ও তাহিরপুর বাজারে দুইটি হোটেল পাবেন। আর বর্ষায় গেলে সেখানে নৌকায় থাকতে পারবেন। খাওয়া-দাওয়া টেকেরঘাট বাজার, বড়ছড়া বাজার বা তাহিরপুর বাজারে করতে পারবেন। সেখানে বেশ কয়েকটি ভালো মানের খাবারের হোটেল পাবেন। আর নৌকা ভাড়া নিলে সেখানেই রান্নার ব্যবস্থা থাকে। সেক্ষেত্রে নৌকায় ওঠার আগে বাজার করে নিতে হবে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online