অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে ভেজা মাঠে বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের। বিশেষ করে এদিন ব্যাট হাতে দূর্দান্ত শুরু পাওয়া লিটন দাসের। বৃষ্টির পর মাঠে নেমেই ভেজা মাঠের কারণে রান আউটের ফাঁদে পড়তে হয়েছে তাকে।
ভেজা মাঠে আরও একটি সুবিধা পেয়েছে ভারত দল। সেটি হচ্ছে, মাঠ না শুকিয়েই খেলতে নামায় বল বাউন্ডারি পর্যন্ত সহজেই যাচ্ছিল না। ফলে ব্যাটারদের রান তুলতে আরও বেশি কষ্ট করতে হচ্ছিল।
মাঠ শুকানোর আগেই খেলা শুরু করায় এবং বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট নিয়েও প্রশ্ন ওঠায় আইসিসির সমালোচনায় মেতেছে ক্রিকেট বিশ্ব। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। টুইটারে ক্রিকেট ভক্তরা আইসিসি ও বিসিসিআই’র সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
মুহাম্মাদ নূর নামের একজন লিখেছেন, অগ্রিম অভিনন্দন ভারত। আইসিসি দয়াকরে ভারতকে ট্রফিটা সরাসরি দিয়ে দেন। ম্যাচ অফিসিয়ালরা জাহান্নামে যাক। একজন ব্যাটার পিচের উপর দিয়েই দৌড়াতে পারছিল না। এবং পুরো মাঠ ভিজা। বল বাউন্ডারি পর্যন্তও পৌছাতে পারছিল না।
এমি আবিদ লিখেছেন, সময় এসেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল নাম পরিবর্তন করে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল রাখার। এক ভারতীয় লিখেছেন, আমি একজন ভারতীয় কিন্তু আমি বিসিসিআই এর জন্য লজ্জিত। আরফা লিখেছেন, কেনো আইসিসি িএরকম গুরুত্বপূর্ন একটি ম্যাচ এমন ভেজা মাঠে খেলতে দিল। কেনো আম্পায়াররা মাঠকর্মীদের সুযোগ দিল না মাঠ শুকানোর জন্য। কেনো আম্পাররা মাঠ বেশি ভেজার সুযোগ করে দিল?
রিজওয়ান লিখেছেন, আইসিসি বিসিআই এর থেকে বেশি মুনাফা পায় বলেই এগুলো করে। সাকিব ও বাবর আজমের দুইটি ছবি প্রকাশ করে মুসকান লিখেছেন, কোনো পার্থক্য নেই।
ভেজা মাঠে ভারতের বিপক্ষে তরী ডুবল বাংলাদেশের
বৃষ্টির কারণে অ্যাডিলেডের মাঠ এতটাই ভেজা ছিল যে, ভারতের দলের স্টাফদের ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে ক্রিকেটারদের জুতা পরিস্কারে। কারণ ভেজা জুতায় মাঠে ফিল্ডিংয়ে পরে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। সেই মাঠে ব্যাটারের বলও বাউন্ডারি পর্যন্ত সহজে গড়াচ্ছিল না। এমন মাঠেই বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ৫ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত।
অ্যাডিলেটে টসে হেরে বাংলাদেশর বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৮৫ রান দাড় করায় রোহিত শর্মার দল। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে বৃষ্টির কারণে ১৬ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের লক্ষ্য হয় ১৫১ রান। লিটনের ৬০ ও সোহানের শেষ মুহুর্তের ক্যামিওতেও জয়ের বন্দরে পৌছাতে পারেনি টাইগাররা। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ১৪৫ রানে। ফলে ৫ রানের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের পথ সহজ করে ফেললো ভারত।
বৃষ্টির পর পরিবর্তিত লক্ষ্য ১৫১। ১৬ ওভারে করতে হবে এই রান। ৭ ওভারে ৬৬ রান তুলে ফেলার পর পরের ৯ ওভার তথা ৫৪ বলে বাংলাদেশের লক্ষ্য ৮৫। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভার, তথা ম্যাচের ৮ম ওভারেই দুর্ভাগ্যজনক রানআউট হয়ে গেলেন লিটন দাস।
২৬ বলে ৫৯ রান নিয়ে বৃষ্টির পর খেলতে নামেন লিটন। ৮ম ওভারের প্রথম বলে অশ্বিনের কাছ থেকে ১ রান নেন তিনি। দ্বিতীয় বলে নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় রান নিতে গিয়েই বিপদে ফেলে দেন লিটনকে। তবে দুর্ভাগ্য লিটনের, লোকেশ রাহুলের সরাসরি থ্রো গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। ৬০ রানে রানআউট হয়ে গেলেন লিটন।
লিটনকে রানআউট করার পর শান্ত নিজে থেকে যেন মনে হচ্ছিল ম্যাচের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। একটি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারিই তার প্রমাণ। কিন্তু ভারতীয়দের হিসেবি বোলিংয়ের মুখে তার এই দায়িত্ব নেয়াটা বেশিক্ষণ টিকলো না। মোহাম্মদ শামির বলে সুর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে করেন ২১ রান।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online