চলতি কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ উন্মাদনায় বাংলাদেশ এখন ‘টালমাটাল’। শহর কিংবা গ্রাম, বাড়ির ছাদ ও গাছে টাঙানো হয়েছে ভিনদেশি পতাকা। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের জাতীয় পতাকায় ছেয়ে আছে পুরো দেশ। ঠিক এমন সময়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা টাঙিয়ে আলোচনায় এসেছেন এক যুবক। যুবকের নাম আবদুল লতিফ।
জানা যায়, তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া নামাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে। পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া নামাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন তিনি। গ্রামটির পাকা রাস্তার ধারে তাঁর বাড়ির পাশে পতাকাটি টাঙানো হয়েছে। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। পরিবারের অসচ্ছলতায় বেশিদূর লেখাপড়া করতে পারেননি।
ছোটবেলা থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভক্ত। বিজয় ও স্বাধীনতার মাস এলেই তাঁর ব্যস্ততা বেড়ে যায়। মুজিব শতবর্ষ পালনে জাতীয় পতাকা টাঙানোসহ নানা কর্মসূচি করার ইচ্ছা ছিল এই যুবকের। করোনার কারণে তা করা সম্ভব হয়নি। এ বছর মুজিব শতবর্ষ পালনের উদ্যোগ নেন তিনি। বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সংকট।
টাকা জোগাড় করতে শখের মোটরসাইকেলটি ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন লতিফ। এ জন্য তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধও করা হয়েছিল। এ টাকায় তিনি ৪০০ ফুট লম্বা জাতীয় পতাকা তৈরি করেন। লাল বৃত্তে বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত মুজিব শতবর্ষের মনোগ্রাম দিয়ে পতাকাটি বানানো হয়।
পরে তা টাঙিয়ে দেন বাড়ির সামনের পাকা সড়কে। আর পতাকার সঙ্গে দেওয়া হয় লাল-নীল বাতি। এলাকার বাসিন্দা হাকীম ফুয়াদ হাসান বলেন, কাজটি করার জন্য লতিফকে পাগল বলেও ডাকেন এলাকাবাসী। আবদুল লতিফ বলেন, পতাকা বানানোর পেছনে কোনো সুবিধা নেওয়ার ইচ্ছা নেই। দেশকে ভালোবেসে এ পতাকা।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online