চলতি কাতার বিশ্বকাপে আজ শনিবার ৩ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে রাউন্ড অব সিক্সটিনের খেলা। প্রথম দিনেই মাঠে নামছে এবারের বিশ্বকাপ ফেবারিট দলগুলোর একটি আর্জেন্টিনা। তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। এশিয়ার এই দলটির বিপক্ষে আজ আর্জেন্টাইন অধিনায়ক মেসি মাঠে নামলেই গড়বেন এক অনন্য কীর্তি। স্পর্শ করবেন তার ক্যারিয়ারের হাজারতম ম্যাচ।
এদিকে জাতীয় দলে মেসির অভিষেক হয়েছিল সেই ২০০৫ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে। হাঙ্গেরির বিপক্ষে সেই ম্যাচে বেঞ্চ থেকে মেসিকে মাঠে নামানো হয়েছিল। তবে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার মাত্র ৪০ সেকেন্ডেই গোল খায় তার দল। তখন কে ভেবেছিল আর্জেন্টিনার হয়ে একসময় সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ১৬৮ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েছেন মেসি।
এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন হ্যাভিয়ার মাসচেরানো। তার ম্যাচ সংখ্যা ১৪৭টি। জাতীয় দল ও ক্লাব ক্যারিয়ার মিলিয়ে আজ অনন্য এক কীর্তি গড়তে চলেছেন মেসি। ক্লাব ক্যারিয়ারের প্রায় বেশিরভাগ সময় বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি। কাতালান এই ক্লাবটিতে খেলেছেন সবচেয়ে বেশি ৭৭৮ ম্যাচ। নতুন ক্লাব পিএসজির হয়ে এখন পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন ৫৩ বার।
সব মিলিয়ে মেসির পেশাদার ক্যারিয়ারে ম্যাচ দাঁড়িয়েছে ৯৯৯-এ। বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে আজ মেসি ছুঁতে যাচ্ছেন হাজার ম্যাচের মাইলফলক। আন্তর্জাতিক পেশাদার ফুটবলে হাজারের বেশি ম্যাচ খেলা ফুটবলার হাতেগোনা। আর্জেন্টাইনদের মধ্যে এই কীর্তি আছে কেবল হ্যাভিয়ার জেনেটির। ৪০ বছর পর্যন্ত ফুটবল খেলা জেনেটির ম্যাচ ১১ শতাধিক।
মেসি শুধু হাজার ম্যাচের মাইলফলকই নয়, চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে পাঁচ বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডও গড়েছেন মেসি। এছাড়াও আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২২ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে মেসির নামে (আজ নামলে তা ২৩ হবে)। আর আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ৮ গোল করে সবার ওপরে আছেন মেসি।
আজ ‘লেটস হাগ ডে’ দিবস
একটি নিবিড় আলিঙ্গন অনেকগুলো অব্যক্ত অনুভূতির সমন্বিত প্রকাশ। আনন্দে কিংবা অসহায়ত্বে, ঘৃণায় বা মুগ্ধতায়, হাসিতে বা কান্নায়- জীবনের যেকোনো অবস্থায় প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরলে অনেক হিসাবই সহজ হয়ে যায়। জীবনের জটিল সমীকরণও মুহূর্তে মিলিয়ে দেয় একটি আলিঙ্গন। আলিঙ্গন ব্যাপারটি আমাদের দৈনন্দিন অনুভূতির সঙ্গে সমান্তরালে বাস করে।
এদিকে গবেষকেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত প্রিয় মানুষকে জড়িয়ে ধরলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীর থেকে অক্সিটোসিন হরমোন নির্গত হয়, যা বিষণ্নতা ও নিঃসঙ্গতা দূর করে। ভালো থাকে হৃদযন্ত্র।
আজ ৩ ডিসেম্বর ‘লেটস হাগ ডে’ বা ‘চলো আলিঙ্গন করি’ দিবস। দিবসটির উৎস সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। সূত্রমতে, কেভিন জ্যাভরনি নামক এক জনের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। দারুণ এ দিবস নানাভাবে পালন করা যেতে পারে।
যার সঙ্গে আছে মান-অভিমান, ঝগড়া-বিবাদ, সব ভুলে আজ তাকে জড়িয়ে ধরুন। ভুলে যান সবকিছু। এদিকে মার্কিন লেখক অ্যান হুডে বলেছিলেন, হাজারটা অর্থপূর্ণ শব্দের চেয়ে একটি শক্ত আলিঙ্গন অনেক বেশি শক্তিশালী।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online