পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবা-মাসহ একই পরিবারের ৬ জন সদস্যকে হারিয়ে উজ্জল বর্মণ ও অজয় বর্মণের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। এ অবস্থায় তাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মহালয়ার পূজা দেখে ফেরার সময় গত ২৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের আউলিয়া ঘাটের করতোয়া নদীতে যাত্রীবাহী একটি নৌকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডুবে যায়। এ ঘটনায় নিহতের তালিকায় আছে বোদা উপজেলার বামন হাট এলাকার হরিকেশরসহ তার স্ত্রী কনিকা রানী, ছোট বোন পারুল রানী, বোন জামাই বিনয়, শ্বশুর সরেন বর্মন, শ্যালিকা মনিকা রানীসহ একই পরিবারের ৬ জন সদস্য। নিহত হরিকেশর মুক্তিযোদ্ধা মঙ্গোলু বর্মণের ছেলে। এ ঘটনায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায় হরিকেশরের দুই ছেলে উজ্জল বর্মণ ও অজয় বর্মণ।
নৌকাডুবিতে প্রথমে এই ৬ জনই নিখোঁজ হন। পরদিন সোমবার উজ্জল ও অজয়ের মা কনিকা রানী, ফুফু পারুল রানী ও নানা সরেন বর্মনের মরদেহ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার সকালে করতোয়া নদীতে ফেসে উঠে বাবা হরিকেশরের লাশ৷ পরে স্থানীয়রা তাদের খবর দিলে উজ্জল ও অজয় নদীর ঘাটে গিয়ে বাবার লাশ শনাক্ত করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বাবার লাশ হস্তান্তর করা হলে হরিকেশরের লাশ সৎকার করে দুই ছেলে।
এক সাথে পরিবারের এতো সদস্যের মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে উজ্জল ও অজয়। এখন তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এ ঘটনায় স্তব্ধ গোটা এলাকা। উজ্জল ও অজয়ের লেখাপড়া ও তাদের দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন স্থানীয়রা৷
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online