দুঃসময়ে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন: সানিয়া মির্জা

ভারতের অন্যতম সেরা টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এই তারকার। ৩৫ বছর বয়সী সানিয়ার ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার ১ কোটির ওপরে। শুক্রবার ভক্তদের উদ্দেশে এই মাধ্যমের স্টোরিতে দুটি বক্তব্যের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন তিনি।

সানিয়ার শেয়ার করা একটি বক্তব্যে লেখা রয়েছে, ‘আল্লাহ জানেন আপনার আত্মা ক্লান্ত। তিনি জানেন, যা ঘটছে তা মেনে নেয়া আপনার পক্ষে কঠিন। তিনি জানেন, আপনি তাকে বলছেন এবং কঠোর প্রার্থনা করছেন। তিনি জানেন আপনি বিভ্রান্ত এবং আপনার শান্তি প্রয়োজন। কিন্তু তিনি এটাও জানেন যে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কি। তিনি সর্বদা আপনাকে সেদিকে চালিত করবেন। তার ওপর বিশ্বাস রাখুন।’

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ব্যক্তিগত পরিসরের গুরুত্ব সম্পর্কে আরেকটি বক্তব্য শেয়ার করেন সানিয়া। এতে লেখা রয়েছে, ‘কখনও কখনও, মানুষের একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তিগত পরিসর প্রয়োজন হয়। এটা সবার জন্যই। এমন একটি জায়গার দরকার হয়, যেখানে আমরা নীরব হয়ে যাই এবং আমাদের চারপাশের বিশ্বের কাছে বধির হয়ে যাই। তারপর আমরা নিজেকে শুনতে পাই। আমরা আমাদের আত্মার ফিসফিস শুনতে পাই।’

ক্রিকেট তারকা শোয়েব আর টেনিস তারকা সানিয়াকে এক করেছিল খেলাই। দিল্লির এক জিমে ২০০৩ সালে পরিচয় হয় তাদের। এরপর যোগাযোগটা ছিল। ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় আবার দেখা হয় তাদের। পরের বছর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। সংসার জীবনে তাদের একটি ছেলে রয়েছে।

শতকোটি টাকার মালিক সিটি কলেজের ছাত্র!

এখনও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডিই পেরুতে পারেননি। চলতি বছরেই বসবেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। আর এরই মধ্যে বনে গেছে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। রাজধানীর সিটি কলেজের ছাত্র রাতুল অনলাইন জুয়ার সাইট চালিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। চলাফেরাতেও আভিজাত্যের ছোঁয়া। যখন যা মনে হয়েছে তাই-ই করেছে, তাই-ই কিনেছে। তার কাছে রয়েছে সিভিক প্রাইভেট কার, প্রিমিওর মত গাড়ি। আর বাইক রয়েছে কয়েক হালি। সেগুলো আর ফিফটিন তো অবশ্যই। আর ফোন যখন যেটি মনে হয়েছে সেটিই কিনেছেন। আইফোন ১৪ এর সর্বশেষ মডেলও তার হাতে। বিলাসী জীবন বলতে যা বোঝায় তার সবটিই সে ভোগ করেছে। গ্রামের বাড়িতে বাবাকে কিনে দিয়েছেন ৪টি ভেকুও।

অবৈধ পথে শতকোটি কামানো রাতুলসহ তিন জনকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অন্য দুই জন হলেন মুন্না ও ইয়াসিন। তাদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইমের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত তিন জনের বাইরে রয়েছে আরো দুই জন। এরা হলো নবাব ও মুকুল। এদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, পাবনা জেলার আমিনপুর থানার বাঁশতলা গ্রামের আজিবুর রহমানের ছেলে রাতুল। সে মেলবেট নামক একটি অনলাইন জুয়ার বাংলাদেশি মূল এজেন্ট। এছাড়াও আরো কয়েকটি জুয়ার সাইট পরিচালনা করে। সে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বাবা সামান্য মুহুরির কাজ করে। কিন্তু সে ৫০ লাখ টাকা দামের প্রাইভেট কারে চলাফেরা করে। তার তিনটি আর-১৫ ভার্সন মোটরবাইক আছে। যার একেকটির মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা। তার বড় ভাইকে তিনটি এক্সকাভেটর (মাটি কাটা মেশিন) কিনে দিয়েছে। সুবাস্তুতে কয়েক কোটি টাকার পার্টনারশিপে একটা বিদেশি পণ্যের শোরুমের কাজ করছে। থাকে ধানমন্ডির এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে। তার ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ফোনের একেকটির মূল্য প্রায় ২ লাখ বা তারও বেশি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, রাতুল সম্প্রতি আজারবাইজানের একটা জুয়া কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা মূল্যের এজেন্সি ক্রয়ের আলোচনা করছে এবং পরীক্ষা শেষ করে আজারবাইজান যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এতকিছু তার জুয়ার সাইট পরিচালনা করে। রাতুল তার বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করত। তার বাবার কয়েকটি অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাতুল তার সহযোগীদের দিয়ে এ দীর্ঘদিন ধরে এ চক্র গড়ে তোলে। অনলাইন গেইমের মাধ্যমে অন্তত কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ডলার বিজনেসের মাধ্যমে এ টাকা বিদেশে পাচারও করে।

রাতুলের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব কয়েক জন ভুক্তভোগী জানান, তার কথায় বিনিয়োগে দ্বিগুণ হওয়ার প্রলোভনে তিনি কয়েক বারে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময় তিনি আর কিছুই পাননি। যেহেতু তিনি কাজটি অন্যায় করেছেন সেহেতু তিনি এ বিষয়ে অভিযোগও করতে পারছেন না। এ নিয়ে তাদের পরিবারে অশান্তি চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন জুয়াড়ি বলেন, আজ থেকে বছর পাঁচেক আগেও এই অনলাইন বাজি ছিল এদেশের সমাজের মুষ্টিমেয় ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ। এখন সারা দেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার সাধারণ মানুষ অনলাইনে বাজিতে বুঁদ হয়ে থাকে। ফুটপাতের চা-দোকানি থেকে শুরু করে সেলুন দোকানদার, হকার, বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী, বিক্রয় কর্মী থেকে শুরু করে ভবঘুরে, বাস-ট্রাকের চালক-হেলপার, সিএনজিচালক, নির্মাণ শ্রমিক, গৃহপরিচারিকা, রিকশাচালক ও দিনমজুর শ্রেণির মতো একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষ এখন দিনের একটা সময় অনলাইনে বাজি ধরতেই ব্যস্ত থাকে। ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত এই শ্রেণির মানুষ বাজি ধরে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তো রয়েছেই, স্কুলের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও অনলাইনে বাজি ধরতে বেশ পটু।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, অনলাইনে বেটিং ধরতে গিয়ে প্রথমে ৩ হাজার পরে ৫ হাজার টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ধরা হয়। এরপর আসক্তি বাড়লে ১০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত চলে যায়। আর এভাবেই টাকা শেষ হতে থাকে। জুয়ার এসব সাইটের অধিকাংশ পরিচালনা করা হচ্ছে রাশিয়া, ফিলিপাইন, ম্যাকাও, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, আজারবাইজান, বেলারুশ, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ থেকে। এসব সাইটে বাংলাদেশিদের ফাঁদে ফেলছে এদেশীয় এজেন্টরা।

Check Also

Where Do Health Care Assistants Work? A Comprehensive Guide

Where Do Health Care Assistants Work? A Comprehensive Guide

Health care assistants play a crucial role in the medical field, offering hands-on care to …