তিন মাস পর শিশু সন্তানদের কাছে ফিরে এসে চার দিন পর আবারো পরোকিয়ার টানে পালিয়ে গেছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবাড়িষা ইউনিয়নের শিধুলি গ্রামের সালমা খাতুন (৩৪)। গত ২০ অক্টোবর ২০২২ তারিখে সুদ ব্যবসায়ী আবু সামহার সাথে পরোকিয়ার টানে পালিয়ে বিয়ে করেন। আবু সামহা গত তিন মাস ধরে ওই গৃহবধুকে বিভিন্ন স্থানে আত্বগোপন করে রাখেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় নিউজ হলে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধু ও আবু সামহা তিন মাস ধরে সংসার করছেন আত্বগোপনে থেকে। অতপর গত ২০ ডিসেম্বর ২০২২ গৃহবধু সন্তানদের টানে ফিরে আসে এবং ৪ দিন পরে ২৪ ডিসেম্বর শনিবার আবু সামহাকে ডিভোর্স দেন। কিন্তু রবিবার ২৫ ডিসেম্বর পুনরায় তিন ছেলে সন্তান রেখে ওই গৃহবধু পরোকিয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। শিশু সন্তান সাব্বির, সামিউল, শাহাদত তাদের ভালবাসাও হার মানলো পরকীয়ার কাছে।
এদিকে গৃহবধুর তিন সন্তানের পিতা কামাল হোসেন জানান, গত ২০ ডিসেম্বর আমার সন্তানদের টানে ফিরে আসে সালমা এবং আবারো আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার কাছে থেকে ৪০ হাজার টাকাসহ ১৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে নিয়ে আবু সামহাকে ডিভোর্স দেয়। কিন্তু তার পরের দিনই আবারো আবু সামহার কাছে ফিরে যায়। তারা বিয়ে না করেই এক সাথে থেকে বেভিচার করছেন। এই প্রতারনার ও বেভিচারের জন্য গৃহবধু ও আবু সামহার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সমাজ এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কামাল হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৃহবধু সালমা খাতুন জানান, আমি গত ২৪ ডিসেম্বর কামালের চাপে আবু সামহাকে ডিভোর্স দেই এবং তার পরের দিনই আবারো আবু সামহাকে বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের কোন তথ্যাদি দেখাতে তারা অপরাগ হয়।
অপরদিকে পরোকিয়া প্রেমিক আবু সামহা বলেন, আমি যদি এখন বেভিচার করে থাকি তবে গত চার দিন আমার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমাকে কালাম তার বাড়ীতে রেখে কালামও বেভিচার করেছেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল মতিন বলেন, এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online