মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় একটি রেস্তোরাঁ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে তবে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার চর বেউথা এলাকার ‘বেউথা টি ইফেক্ট অ্যান্ড ফিস ল্যান্ড’ নামক ওই রেস্তোরাঁয় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী রেস্তোরাঁ মালিক এম এম জনি জানান, সোমবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগের পাঁচ থেকে ছয়জন কর্মী মাতাল অবস্থায় আমার রেস্তোরাঁর এসে কাস্টমারদের বের করে দেয়। এ সময় রেস্তোরাঁর ম্যানেজার এগিয়ে আসলে তাকে গালাগালি করে বলে- ‘আজ এই জায়গা আমাদের এরিয়া’। তখন ম্যানেজার আমাকে খবর দেয়। পরে আমি এসে দেখি আমার রেস্তোরাঁর অনেকগুলো চেয়ার ভাঙা। ওই সময় তাদের চেয়ার ভাঙার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা গালাগালি করতে থাকে এবং তাদের নেতা ও ছাত্রলীগ সভাপতিকে ফোন করার কথা বলে। পরে আমি নিজেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে ফোন করি। পরবর্তীকালে ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, ভাই ওরা চলে এসেছে, আর এরকম করবে না বলে জানিয়েছে। এ কথা শুনে আমিও সেখান থেকে চলে যাই।
এম এম জনি আরও জানান, এ ঘটনার ঘন্টাখানেক পর রাত ১০টার দিকে জানতে পারি- মিম, আতিক, বাবুসহ ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী রামদা-চাপাতি নিয়ে এসে আমার রেস্তোরাঁ ভাংচুর করেছে। ওই সময় রেস্তোরাঁর পাঁচটি ঘর ছাড়াও দুটি ফ্রিজ, একটি মোটরসাইকেলসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে তারা। এমনকি তারা আমার রেস্তোরাঁর শেফ(প্রধান বাবুর্চি) আসিফের দুই হাতে কোপ দিয়ে ক্যাশবাক্সে থাকা ২৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর থানায় উল্লেখিতদের নামে অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক এম এম জনি।
রেস্তোরাঁর শেফ মো. আসিফ জানিয়েছেন, গত রাতে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসেই রেস্তোরাঁর ঘরগুলো চাপাতি-রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে। এ সময় তারা আমার দুই হাতে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। আমার দুই হাতেই সেলাই করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। তবে প্রকৃতপক্ষেই যদি ছাত্রলীগের কেউ এমন ঘটনা ঘটায় তবে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রউফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে আমি ইতোমধ্যেই রেস্তোরাঁটি পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে মামলা হয়েছে এবং আইন ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।
Sotto TV We Publish technology, various types of tips, career tips, banking information, methods of earning online