চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিহতদের একজন চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী। আরেকজন পথচারী। কলেজ শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে আমরা মৃত্যুর তথ্য পেয়েছি। তবে পুলিশ কোথাও বলপ্রয়োগ করেনি।
রংপুরে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী নিহত
রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ দুপুরে বেরোবির কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হন।
জানা গেছে, নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ। তিনি বেরোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ইউনুস আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এক শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। আমি ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ দেখিনি। তবে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার শরীরে রাবার বুলেটের ক্ষতের চিহ্ন আছে।
এ ছাড়া আহত অবস্থায় আরও ১৫ জন হাসপাতালে এসেছেন বলেও জানান তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। অনেক পুলিশ সদস্য এতে আহত হয়েছেন। একজন মারা গেছে বলে শুনেছি। তিনি কীভাবে মারা গেছেন, তা বলতে পারছি না।